নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসককে বদলির প্রতিবাদে মানববন্ধন

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনের সড়কে। ছবি: প্রথম আলো
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনের সড়কে। ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় বক্তারা দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনের সড়কে ‘নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।

নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, শিকড় উন্নয়ন কর্মসূচির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, প্রাবন্ধিক স্বপন কুমার পাল, জেলা উদীচীর সহসভাপতি মাসুদুর রহমান খান, সিপিবির জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী কোহিনূর বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মারুফ হাসান খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মঈনউল ইসলাম জেলা প্রশাসক হিসেবে নেত্রকোনায় যোগদানের পর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে চলমান করোনা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। হঠাৎ করে তাঁকে বদলির আদেশে জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে বদলির আদেশের আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ...তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁর সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। আর অভিযোগ যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামকে বদলি করা হয়। তাঁকে নেত্রকোনা থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে মঈনউল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে, তা ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বেশ আগে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সম্মানহানির অভিযোগ আনেন তাঁর কার্যালয়ের একজন সাবেক নারী কর্মকর্তা। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

জানতে চাইলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টির তদন্ত চলছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।