সিফাত-শিপ্রার মুক্তির দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের তথ্যচিত্র নির্মাণের সহযোগী দুজনের মুক্তি চেয়েছেন তাঁদের সহপাঠীরা। গ্রেপ্তার করা সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবনাথের মুক্তি ও নিরাপত্তার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ।

বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো—শিপ্রা ও সিফাতের সার্বিক নিরাপত্তা এবং নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, মেজর (অব.) সিনহা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং মানসিক প্রহসন থেকে মুক্তি দিতে হবে।

শিপ্রা ও সিফাতের সহপাঠী ফয়জুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা একটা তথ্যচিত্র বানানোর জন্য যায়। সিফাত-শিপ্রা আমার ব্যাচমেট। আমরা একসঙ্গে অনলাইনে মিডটার্ম পরীক্ষাও দিলাম। শিপ্রা পরিচালক ও সিফাত সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ওই প্রজেক্টে ছিল। সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। ওরা এ রকম না। এটা সাজানো গল্প। আমাদের দুজন বন্ধুকে ফাঁসানো হয়েছে। দ্রুত ওদের মুক্তি চাই। ওদের ভবিষ্যৎ আছে। আর যেন হয়রানি করা না হয়। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

৩১ জুলাই রাতে সিনহা ও সাহেদুল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের ভাষায় ‘আত্মরক্ষার্থে’ ছোড়া গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদুলকে। এ ছাড়া এ তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁরা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন, সেখান থেকে স্টামফোর্ডের আরেক শিক্ষার্থী তাহসিন রিফাত নূর ও শিপ্রাকেও আটক করা হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ এবং শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

আজকের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, সহকর্মী ও সহপাঠী হিসেবে তাঁরা সিফাত ও শিপ্রার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।