সিপিবির কর্মীরা ফেসবুকে দলের সমালোচনা করতে পারবেন না

সিপিবি
সিপিবি

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কর্মীদের কিছু বিষয় মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটি এসব মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ফেসবুকে সিপিবি কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশনা তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, সিপিবি নিয়ে কর্মীদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দলের ইতিবাচক প্রচারে ব্যবহার করতে হবে। দলের সমালোচনা, গোপনীয়তাবিষয়ক কিছু নিয়ে কথা বলতে পারবেন না কর্মীরা।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাতটি নির্দেশনা দেন। ইলেকট্রনিক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সিপিবির বক্তব্য ও কার্যক্রমের ইতিবাচক প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে হবে। দল ও একতার ওয়েবসাইট এবং দল অনুমোদিত পেজ ও ফেসবুক প্রচারকাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

স্বনামে বা বেনামে পরিচালিত ফেসবুক, টুইটার, ই-মেইল ইত্যাদিতে সিপিবির লাইন, সিদ্ধান্ত ও কাজকর্মের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমালোচনা করে কোনো কথা বা ছবি প্রচার করা অথবা অন্য কারও এ ধরনের পোস্ট শেয়ার দেওয়া যাবে না।

সিপিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, এমন ধরনের পোস্ট ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিপিবির অভ্যন্তরীণ কোনো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে স্বনামে বা বেনামে পোস্ট করা বা তর্কবিতর্ক চালানো যাবে না।

ফেসবুকে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিপিবি সম্পর্কিত কোনো সমালোচনা বা বিতর্কের জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে তা দলের গৃহীত লাইন ও সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে। জবাব দেওয়ার আগে তার বিষয়বস্তু দলের নিজস্ব ফোরামে আলোচনা করে নিতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দল, দলের নেতা-কর্মী বা দলের লাইন নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কথাবার্তা প্রকাশ করা যাবে না।

সিপিবির গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে যত্রতত্র দল নিয়ে কথা বলা এবং মোবাইল ফোন ও ফেসবুকে দল–সংক্রান্ত এ ধরনের কোনোরূপ আলোচনা ও কথা বলা যাবে না।

এসব নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। পার্টি নিয়ে যার যার অভিমত অভ্যন্তরীণ ফোরামে দিতে পারবে। কিন্তু বাইরে যেন সেগুলো না আসে, এ জন্যই এ নির্দেশনা।