রুবেল-বরকতের 'অপপ্রচারের' প্রতিবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তাঁদের পক্ষে কাজ করেছেন। তবে এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন মেহেদী হাসান। 

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে একই এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান। মেহেদী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করছেন।
সম্প্রতি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বরকত ও রুবেল বলেছেন, ডিক্রির চর ইউপির চেয়ারম্যানসহ সদরের চারজন ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে নিজ নিজ ইউনিয়নে তাঁদের (বরকত ও রুবেল) পক্ষে কাজে সহযোগিতা করেছেন।
মানববন্ধন চলাকালে আওয়ামী লীগ পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন ডিক্রির চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার খান, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগ নেতা আলমগীর ফকির প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের পরিবার ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে, লড়াই সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হামলা, মামলা, কারাভোগের শিকার হয়েছেন মেহেদী হাসান। আর আওয়ামী লীগ সরকার আমলেও ‘হাইব্রিডদের’ মাধ্যমে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। গত ইউপি নির্বাচনে মেহেদী হাসান বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের এক নির্যাতিত সন্তান। বিএনপি-জামায়াত আমলেও আমাদের ওপর অত্যাচার, জুলুম হয়েছে। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছি তখন। আজ দল ক্ষমতায় থাকার সময়ও নির্যাতিত হচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘রুবেল-বরকত কিছুদিন আগেও রাজনৈতিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ছিল। ষড়যন্ত্র করেছে একের পর এক। আমাকে জিম্মি করে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের কথা বলে। এখন আমার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
এত দিন এসব কথা বলেননি কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আপনারা তো দেখেছেন, লিখেছেন হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কথা। জীবনের ভয়ে কথা বলতে পারিনি সেদিন। তারপরও সাংবাদিকদের লেখার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করার জন্য দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।’