রুবেল-বরকতের 'অপপ্রচারের প্রতিবাদে' ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন। আজ শুক্রবার দুপুরে কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইর বাজারে। ছবি: প্রথম আলো
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন। আজ শুক্রবার দুপুরে কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইর বাজারে। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে বেলায়েত হোসেনকে জড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করা হয়।

আজ শুক্রবার বেলা দুইটায় সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রণকাইর বাজারে নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বেলায়েত হোসেন। তিনি ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন।

সম্প্রতি মানি লন্ডারিং মামলায় আটক রুবেল-বরকত আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছিলেন, সদর উপজেলার চারটি ইউপির চেয়ারম্যান নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে বরকত-রুবেলের অপকর্মে সহযোগিতা করতেন। এ বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘রুবেল-বরকত রাজনৈতিকভাবে সব সময় আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। এ বক্তব্য আমাকে বিপদে ফেলার জন্য। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে দুটি জিডি করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করছি।’

বেলায়েত হোসেন বলেন, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা তমিজউদ্দিন ফকির এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দলকে সুসংগঠিত করার সংগ্রামে অনেকবার কারাবরণ করেছেন। এক–এগারোর সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। রাজবন্দী হিসেবে জেল খেটেছেন।

সাংবাদিকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে কারও প্রিয়, কারও অপ্রিয় হতে হয়। সব সময় সবার মন জয় করা সম্ভব হয় না। তিনি ফরিদপুর আওয়ামী লীগে ছদ্মবেশী বিএনপি-জামায়াতের গুপ্তচরদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা অনুসন্ধান করুন। আমার কোনো খারাপ কাজ থাকলে, তা অবশ্যই তুলে ধরুন। দুবার গণমানুষের বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় কাজ করে যাচ্ছি, কাজ করে যাব।’