শ্রীপুরে এক দিনে ৩ বাল্যবিবাহ বন্ধ, জরিমানা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় এক দিনে তিনটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দুই গ্রামের তিনটি স্থানে এসব বিয়ের আয়োজন চলছিল। বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় এক কনের মাকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নের এক গ্রামে নবম শ্রেণির ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ের বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। বাড়িতে বড় ধরনের প্যান্ডেল করে খাওয়াদাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা। কনের বয়সের প্রমাণপত্র চাইলে পরিবারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা কাগজে দেখা যায় কনের বয়স ১৪ বছর। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনের মাকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই গ্রামের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন ইউএনও। তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েটির চাচা বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে তাঁর কাছ থেকে ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।

একই দিন সিংহশ্রী ইউনিয়নের একটি গ্রামে আরও একটি বাল্যবিবাহের আয়োজন পণ্ড করেন ইউএনও। কাপাসিয়া থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়।

ইউএনও ইসমত আরা টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করেছি। দুটি বিয়ের আয়োজনে গিয়ে জেনেছি, তাঁরা অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে এর কোনো ভিত্তি নেই। আমরা একটি পরিবারের এক সদস্যকে জরিমানা করেছি। অন্য এক পরিবারের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করানোর ক্ষেত্রে সনমানিয়া গ্রামের আবদুল খালেক নামের এক মুহুরির সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা গেছে। আমরা তাঁর ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।’