বগুড়ায় এক দিনে করোনায় সংক্রমিত তিনজনের মৃত্যু

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে দুজন এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১১৫।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেলা আড়াইটার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যাওয়া রোগীর নাম মোস্তাক আহম্মেদ (৬২)। তাঁর বাড়ি বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায়। তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম হেফজুল ইসলাম (৫০)। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বড়পাথার গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় খামারি ছিলেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকায়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খায়রুল বাশার মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মোস্তাক আহম্মেদ ৪ আগস্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তিনি কোভিড নেগেটিভ শনাক্ত হন। কিন্তু সিটি স্ক্যানে তাঁর শরীরে কোভিডের জীবাণু ধরা পড়ে। শরীরের অক্সিজেন কমে যেতে থাকলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে হেফজুল ইসলাম নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জুলাই কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হন। তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে শুক্রবার তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম (এইও) জানান, কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে ২ আগস্ট ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষায় ৪ আগস্ট তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। শনিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার পর্যন্ত বগুড়ায় কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৭৬ জন।