স্ত্রীর লাশ রক্তাক্ত পড়েছিল, স্বামী ছিলেন ঝুলন্ত অবস্থায়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে স্ত্রীর লাশ রক্তাক্ত পড়েছিল। স্বামীর লাশ দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে উপজেলার বৌলাছড়া চা বাগানে এই ঘটনা ঘটেছে।

এই দুজন হলেন বিপুল তন্তুবায় (৪৫) ও অলকা তন্তুবায় (৩৫)। তাদের শুভা তন্তুবায় (১৪), দেবা তন্তুবায় (৯) ও দেবী তন্তুবায় (৪) নামে তিনটি সন্তান আছে।

এই দম্পতির বড় মেয়ে শুভা তন্তুবায় বলেন, রাতে বাবা–মা ও তার ভাই–বোন এক ঘরে ঘুমাতে যান। পাশের ঘরে সে ঘুমাতে যায়। আজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সে তার বাবা–মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। তখন আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। সে জানায়, বাবা–মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল।

বৌলাছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সাওতাল বলেন, সকালবেলা নিহত স্বামী–স্ত্রীর বড় মেয়ের চিৎকার শুনে সবাই আসে। এ সময় স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং স্বামীর লাশ দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিপুলের কোনো কাজ ছিল না। তাঁর স্ত্রী বাগানের চা শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। কখনো ঝগড়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে বাবা–মাকে হারিয়ে দিশেহারা তিন সন্তান। তাদের নিয়ে কী করা হবে, সেটা সবাই আলোচনা করে ঠিক করবেন।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এর জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।