বরগুনায় মানববন্ধনে লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ। ফাইল ছবি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ। ফাইল ছবি

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে বরগুনার বামনা উপজেলায় আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিপেটা ও ওসির হাতে পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোফিজুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির সদস্যরা আজ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কক্সবাজারে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুর ১২টায় বরগুনার বামনায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চলচ্চিত্রকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের শিক্ষক, সহপাঠী, স্বজন ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে বামনা থানা–পুলিশের একটি দল প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা ব্যানার-পোস্টার ছিনিয়ে নেয়। এরপর বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস আলী তালুকদার মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ শুরু করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এতে ১০ শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনার পর বামনা থানার পুলিশ দাবি করে, তাদের কাছ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। মানববন্ধনের নামে রাস্তা অবরোধ করা হয়। সেখানে পুলিশ গিয়ে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত শুরু করলাম। আরও দু–এক দিন সময় লাগবে।’

গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও সাহেদুল টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে।