করোনা শনাক্তের তিন সপ্তাহ পর বগুড়ার চিকিৎসকের মৃত্যু

চিকিৎসক রেজওয়ানুল বারী শামীম
চিকিৎসক রেজওয়ানুল বারী শামীম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ২১ দিনের মাথায় বগুড়ার এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার বেলা সোয়া দুইটার দিকে রেজওয়ানুল বারী শামীম (৪৯) নামের এই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রেজওয়ানুলের বাড়ি বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায়। তিনি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে রেজওয়ানুল বারী ২১তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং দুপচাঁচিয়া ও ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন।

বগুড়ার বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসক রেজওয়ানুল বারী গত ১৯ জুলাই করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। ওই দিনই টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। কয়েক দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পর ২৮ জুলাই তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এক দিন পর ২৯ জুলাই তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, রেজওয়ানুল বারীকে ২৯ জুলাই মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে শ্বাসকষ্ট ছাড়াও শরীরে অক্সিজেন অস্বাভাবিক কমে যাচ্ছিল। গত শনিবার তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্বজনেরা রোববার সকাল নয়টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় নেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার পর্যন্ত বগুড়ায় কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৬ জন। এর মধ্যে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৭ জন। কোভিডের সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৩২ জন।