সিলেটে বোমাতঙ্কের ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট বরখাস্ত

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেট নগরের চৌহাট্টা মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেলে থাকা গ্রাইন্ডিং যন্ত্রের কারণে সৃষ্ট বোমাতঙ্কের ঘটনায় মোটরসাইকেলটি ব্যবহারকারী ওই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। তাঁর নাম চয়ন নাইডু।

চয়ন নাইডুকে দায়িত্বরত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান এবং তাঁর ব্যবহৃত যানে ওই বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবারই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আজ রোববার প্রথম আলোকে নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বুধবার সন্ধ্যায় চৌহাট্টা মোড়ে চয়ন নাইডুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত কেউ গ্রাইন্ডিং যন্ত্র ঝুলিয়ে রেখে যায়। পরে বোমাসদৃশ বস্তু দেখে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রায় ২২ ঘণ্টা ওই এলাকা ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষজ্ঞ দল সেটি উদ্ধার করে। পরে বস্তুটি ফাইন্ডিং যন্ত্র হিসেবে নিশ্চিত হয়।

ফয়সল মাহমুদ বলেন, ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বরত এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া তাঁর মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ বস্তু রেখে দেওয়া হলেও তিনি সচেতন ছিলেন না। তিনি নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি অসচেতনভাবে রেখেছিলেন। যার ফলে নগরের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হতে হয়েছে।

ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) বলেন, এতে তাঁর (ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা) দায়িত্বে অবহেলা প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করা হবে।

চৌহাট্টা মোড়টি নগরের জনসমাগমপূর্ণ। ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, একটি সরকারি কলেজ এবং উত্তর পাশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মাজার রয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে রাখা গ্রাইন্ডিং যন্ত্রটির মধ্যে বোমা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।

সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দলটি বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই গ্রাইন্ডিং যন্ত্রটি উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ওই দিন রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা ঘটনাটি উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সিলেট নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, ‘ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। গ্রাইন্ডিং যন্ত্রটি কে বা কারা কোন উদ্দেশে রেখেছেন এবং এর মালিককে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।’