সিফাতের জামিনের বিষয়ে আদেশ কাল, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার

সাহেদুল ইসলাম সিফাত
সাহেদুল ইসলাম সিফাত

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত কারাগারে আছেন। পরিবার তাঁর জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিনহা হত্যাকাণ্ডের সময় একই সঙ্গে সিফাত থাকায় তাঁর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবার।

ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানাতে কক্সবাজারে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা। তাঁর সঙ্গে সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন সিফাত। সিফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানো। সিনহা-সিফাতরা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন, সেখান থেকে শিপ্রা ও তাহসিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। আজ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শিপ্রা।

আজ রোববার রামুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিপ্রার জামিন মঞ্জুর করা হয়। সিফাতের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার আদেশ হবে।

সিফাতের মামা মাসুম বিল্লাহ আশা করছেন সিফাতও জামিন পাবেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করছি জামিনটা হয়ে যাবে। আদালত পুরো বিষয় অনুধাবন করতে পারবেন, এটাই আমার চাওয়া।’

তবে সিফাতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে মাসুম বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামিন পেলে পরবর্তীতে কী হবে, সেটা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও জানান, সিফাত ভালোই আছে, তবে তাঁর পায়ে কিছুটা ব্যথা আছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ ধরে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন মেজর (অব.) সিনহা। ওই গাড়িতেই ছিলেন সিফাত। বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি থামালে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সিনহা ও সিফাত। সেখানে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী সিনহাকে গুলি করেন। এতে মৃত্যু হয় সিনহার।

এ ঘটনায় পুলিশ টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা করে। সেখানে সিফাতকে আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় কারাগারে আছেন সিফাত।