আশিকুরের হাতে এল গিনেস বুকের স্বীকৃতিপত্র

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতিপত্র হাতে আশিকুর রহমান জুবায়ের। ছবি: সংগৃহীত
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতিপত্র হাতে আশিকুর রহমান জুবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

শূন্যে বল নিক্ষেপ এবং ধরে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেওয়া ঝালকাঠির আশিকুর রহমান জুবায়ের পেয়েছেন স্বীকৃতিপত্র। গত ৩০ জুলাই জুবায়েরের কাছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে একটি স্বীকৃতিপত্র এসে পৌঁছায়।

স্বীকৃতিপত্রে বাংলাদেশি আশিকুর ‘নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস’ ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬৫ বার বল নিক্ষেপ এবং ধরে ফেলে বিশ্বরেকর্ড করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আশিকুর রহমানের ঝালকাঠি জেলা শহরের মসজিদবাড়ি রোডের বাসিন্দা জালাল আহম্মেদের ছেলে। তিনি বরিশাল বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

আশিকুরের কোনো প্রশিক্ষক ছিল না। মা-বাবার চোখ এড়িয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজে নিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চালাতেন অনুশীলন।

এ উপলক্ষে আজ রোববার বিকেল চারটায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি (ইয়াস) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। জুবায়েরকে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি আশিকুর রহমান জুবায়েরকে সংবর্ধনা দেয়। ছবি: প্রথম আলো ট্যাগ: বরিশাল, ঝালকাঠি
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি আশিকুর রহমান জুবায়েরকে সংবর্ধনা দেয়। ছবি: প্রথম আলো ট্যাগ: বরিশাল, ঝালকাঠি

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আশিকুর রহমান তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ফুটবলে আমার অনুপ্রেরণা ওয়ার্ল্ড সুপারস্টার রোনালদিনহো। ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর জার্মানির মার্কেল গুর্ক নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬২ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে ফেলে রেকর্ড গড়েন। আমি তাঁর রেকর্ড ভেঙে মিনিটে ৬৫ বার নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেসে সফল হই।’ তিনি আরও বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া কঠিন বিষয়। এ জন্য নিয়মিত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ মনোযোগ দরকার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি বল নিয়ে কসরত দেখান।

ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটির সভাপতি সাকিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান প্রমুখ।