মোজাম্বিকে হামলায় আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে পাড়ি জমিয়েছিলেন মাহমুদুল ইসলাম। সেখানে মুদিদোকান দিয়ে বেশ চলছিল। দোকানে কর্মচারী রেখেছিলেন দুজনকে। তবে কাজে দক্ষ না হওয়া তাঁদের বাদ দেন। এই ক্ষোভ থেকে হামলা। তাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মাহমুদুল। দুই দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মেনেছেন এই প্রবাসী বাংলাদেশি।

মাহমুদুল ইসলাম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের মুন্সিরখীল এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোজাম্বিকের মিয়ামাদি এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার দুপুরে মারা যান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহমুদুল ইসলাম চার ভাইয়ের মধ্যে মেজ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। আড়াই বছর আগে মাহমুদুল মোজাম্বিকে পাড়ি জমান। দেশটির মিয়ামাদি এলাকায় তাঁর মুদিদোকান ছিল। ব্যবসা ভালোই চলছিল। দুই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর দোকানে সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন। কিন্তু দোকান পরিচালনার কাজে তাঁরা দক্ষ ছিলেন না। তাই দুজনকেই বাদ দেন মাহমুদুল। পরে নতুন দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাদ পড়া আগের দুজন মাহমুদুলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা শুক্রবার রাত আটটার দিকে দোকানে ঢুকে মাহমুদুলের ওপর হামলা চালান। ঘটনার সময় দোকানে অন্য কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে মাহমুদুলকে বেধড়ক পেটান ওই দুই যুবক। মারের চোটে মাহমুদুল অচেতন হয়ে পড়েন। পরে দোকানের টাকা লুট করে চলে যান হামলাকারীরা। স্থানীয় লোকজন মাহমুদুলকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শনিবার তিনি চেতনা ফিরে পান। কিন্তু ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। এ কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল বেলা দুইটার দিকে মারা যান মাহমুদুল।

প্রতিবেশী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, মোজাম্বিকে বেশ কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মাহমুদুলের লাশ দেশে আনা যাবে কি না, সংশয় রয়েছে। কারণ, মোজাম্বিক সরকার কঠিন সব নিয়মকানুন জারি করেছে। এরপরও মাহমুদুলের লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।