বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার থেকে ৯১টি কম্পিউটার উধাও

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৯১টি কম্পিউটার উধাও হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির মধ্যে কম্পিউটারগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে চার বছরে এই গ্রন্থাগার থেকে দুই শতাধিক কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটল। 

চুরির বিষয়টি আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান ও রেজিস্ট্রার মো. নুরউদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য শাহজাহান বলেন, ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপরই একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার থেকে কম্পিউটার চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়টি জানার পর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। সিসি ক্যামেরায় ২৭ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। যাচাই করে দেখা গেছে, এ সময়ের মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর তার আগে ২০ জুলাই উপাচার্য শাহজাহান গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনো গ্রন্থাগারের সব কম্পিউটার যথাস্থানে ছিল। তাই তাঁদের ধারণা, ২০ থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তরিকুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন নিরাপত্তাপ্রহরী হিসেবে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে ২০ জন কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই ২৩ জুলাই থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। অবশিষ্ট প্রহরী ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার কাজ ঠিক রাখার চেষ্টা করেন তাঁরা। এর মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে গেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকটা অনেকটা অরক্ষিত। সেখানে সুরক্ষিতদেয়াল না থাকায় দুর্বৃত্তরা সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। এ কারণেই বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে তারা।

এর আগে এই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়। ২০১৭ সালে ৫০টি ও ২০১৮ সালে ৪৭টি কম্পিউটার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এবার ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকেই একবার বেশ কয়েকটি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য শাহজাহান বলেন, আগের চুরির ঘটনার মামলা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তাধীন। নতুন চুরির ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ছাড়া রেজিস্ট্রার নুরউদ্দিন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।