নরসিংদীতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়াল

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

নরসিংদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮০৩। আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোর কাছে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গত ৭ এপ্রিল জেলার পলাশ উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হন। এরপর ১২৫ দিনের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার ৮০০। সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লাগে ৫৩ দিন। পরের ৫০০ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে সময় লাগে মাত্র ১৩ দিন। আরও ২২ দিন সময় লাগে পরবর্তী ৫০০ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে। তবে সর্বশেষ ৩০৩ জন সংক্রমিত হলেন ৩৭ দিনে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ ও ৯ আগস্ট ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়। গতকাল রোববার রাতে হাতে পাওয়া এসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় পাঁচজন, মনোহরদী উপজেলায় চারজন, শিবপুর উপজেলায় তিনজন, রায়পুরা উপজেলায় তিনজন, পলাশ উপজেলায় দুজন ও বেলাব উপজেলায় একজন রয়েছেন। এ ছাড়া ৮ আগস্ট ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেইল্যান্সের আওতায় আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো ১৩টি নমুনার মধ্যে ছয়জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাঁদের চারজনের বাড়ি সদর উপজেলায় এবং শিবপুর ও পলাশ উপজেলার একজন করে আছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে মোট ৯ হাজার ২৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে পরীক্ষা শেষে ৯ হাজার ২৪৯ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। জেলাজুড়ে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৬ জন, শিবপুরে ১৮২ জন, পলাশে ১৫৫ জন, রায়পুরায় ১৩৮ জন, বেলাবতে ১১৬ জন ও মনোহরদীতে ১২৬ জন রয়েছেন। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত দুজন কোভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং ২২২ জন হোম আইসোলেশনে আছেন।

জেলায় কোভিড-১৯–এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ জন, বেলাবর ৬ জন, রায়পুরা উপজেলার ৫ জন, মনোহরদী উপজেলা ও পলাশ উপজেলার ২ জন করে এবং শিবপুর উপজেলার একজন রয়েছেন। অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত আইসোলেশনমুক্ত, অর্থাৎ সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯৩৪ জন, শিবপুর উপজেলার ১৫৭ জন, পলাশ উপজেলার ১৪০ জন, মনোহরদী উপজেলার ৯০ জন, বেলাব উপজেলার ৯৭ জন ও রায়পুরা উপজেলার ১২২ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।