বরগুনা পুলিশের প্রতিবেদনে সিফাত ভালো ছেলে

সাহেদুল ইসলাম সিফাত। ফাইল ছবি
সাহেদুল ইসলাম সিফাত। ফাইল ছবি

নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের তথ্যচিত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সাহেদুল ইসলাম সিফাত সম্পর্কে বরগুনা পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে পুলিশ সিফাত সম্পর্কে বলেছে, সে (সিফাত) ভালো ছেলে এবং তাঁর ব্যাপারে বিরূপ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গত ২ আগস্ট বরগুনা জেলা পুলিশ থেকে পুলিশ হেডকোর্য়ার্টাসসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সিফাত সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহেদুল ইসলাম সিফাতের (২২) বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা থানায়। তিনি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সিফাতের নানা একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। সিফাত ও তাঁর বোন নানার সঙ্গেই থাকতেন। পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য সিফাত ও তাঁর বোন ঢাকায় খালার বাসায় থাকেন।

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে সাত-আট মাস আগে সিফাতের পরিচয় হয়। সিনহার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সিফাত ভিডিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করে আসছে। পুলিশ সিফাতের নানার বরাতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বরগুনায় সিফাতের নানার বাড়িতেও অন্তত একমাস আগে সিফাতের সঙ্গে সিনহা গিয়েছিলেন।

সিফাত সম্পর্কে বরগুনা পুলিশ বলেছে, ‘এলাকার লোকজনের নিকট গোপন ও প্রকাশ্য জিজ্ঞাসাবাদে বামনা থানা এলাকায় সিফাত অবস্থানকালীন তাঁর স্বভাব চরিত্র ভালো ছিল বলে জানা যায়। বামনা থানা এবং বরগুনা জেলা বিশেষ শাখার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন সিফাতের আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) পরিবর্তন করে র‌্যাবের হাতে ন্যাস্ত করার আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত। বেলা দুইটার পরে সিফাত কারাগার থেকে বের হন।