জানুয়ারি নাগাদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪০-৪৫ দিন আগে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর ভোট করা সম্ভব হয়নি। মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের মেয়াদ শেষে গত ৫ আগস্ট সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন স্থগিত তরা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিন। এই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ৪০ থেকে ৪৫ দিন আগে নির্বাচন করা হবে। তবে এই নির্বাচন করতে মূলত ১০ দিন সময় লাগবে।১৮০ দিন পূর্ণ হবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

ইসি সচিব বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন যে পর্যায়ে স্থগিত করা হয়েছিল সেখান থেকেই আবার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবশ্য এর মধ্যে কোনো প্রার্থী মারা গেলে আবার তফসিল দিতে হবে।
মো. আলমগীর বলেন, আগামী ২৩ বা ২৪ আগস্ট ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

২ এপ্রিল শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন এবং ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যে পাবনা-৪, ঢাকা-৫, সিরাজগঞ্জ-১ উপ নির্বাচন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে করতে চায় ইসি।

মো. আলমগীর বলেন, বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের নাম-পদবি বাংলায় রূপান্তরের জন্য একটি খসড়া করা হয়েছে। কমিশনের আগামী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে। পরবর্তীতে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটেও দেওয়া হবে।