অবশেষে সরানো হলো সেই কর্মকর্তাকে

মনারুল ইসলাম
মনারুল ইসলাম

দুর্নীতির অভিযোগে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) যুগ্ম পরিচালক মনারুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পিডিবিএফের সংযুক্ত না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মনারুল ইসলামকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অবৈধ লেনদেন প্রমাণ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভাগীয় মামলা করা হবে।

মনারুল ইসলাম সরকারের পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির ৩৮৬ কোটি টাকার ৩টি বড় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকল্পের ৪০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। এ ছাড়া আইসিটি ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের দুর্নীতির টাকার একটি অংশ তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনদের ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেনের প্রাথ​মিক তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

‘দারিদ্র্য বিমোচনের বড় প্রকল্পে দুর্নীতি-অনিয়ম’ শিরোনামে ৬ আগস্ট প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর মনারুলকে পিডিবিএফের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে শাহীন আলী ও শাবনুর আক্তার নামের সম্প্রসারণ প্রকল্পের দুই কর্মীকে দুর্নীতির মাধ্যমে পিডিবিএফের মূল জনবলে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা তদন্তে ফাউন্ডেশনের যুগ্ম পরিচালক (মাঠ পরিচালন) শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য উপপরিচালক (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আবদুস সাত্তার মল্লিক।

যদিও এ বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি মনারুলের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে আবার তদন্ত কমিটি করল। তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সমপর্যায়ের একজন ও নিচের পদের আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।