কসবায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ। সালিসে একটা সিদ্ধান্তও হয়েছে। সে অনুযায়ী খুঁটি পোঁতা হয়। তবে এক ভাইয়ের ছেলে সেই খুঁটি তুলে ফেলেন। পরে বাবার নির্দেশে তিনি ক্ষমা চাইতে যান চাচার কাছে। তবে ক্ষমা আর মেলেনি। চাচাতো ভাইদের হাতে খুন হয়েছেন ওই যুবক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় এমনই অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে মামলা হয়েছে।

নিহত যুবকের নাম উবাইদুল হক ওরফে নীরব (২২)। তিনি কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন উবাইদুল। আজ মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে হারুনুর রশিদের সঙ্গে তাঁর ভাই সামসুল হকের বিরোধ চলে আসছে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। সে অনুযায়ী খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়। কিন্তু হারুনের ছেলে উবাইদুল গতকাল দুপুরে ওই খুঁটি তুলে ফেলে দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। এ অবস্থায় হারুন ছেলে উবাইদুলকে শাসন করেন। এ ছাড়া ঘটনার জন্য চাচা সামসুল হকের কাছে গিয়ে মাফ চাইতে বলেন। গতকাল সন্ধ্যায় উবাইদুল চাচা সামসুল হকের কাছে মাফ চাইতে যান। এ সময় সামসুলের ছেলে রোমান মিয়া ও সুমন মিয়া উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা অটোরিকশার একটি ভাঙা গ্লাস দিয়ে উবাইদুলের বুকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

উবাইদুলের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, তিনি বিরোধ মেটাতে স্থানীয় লোকজনের সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর অজান্তে ছেলে উবাইদুল খুঁটি তুলে ফেলেছিলেন। এ জন্য তাঁকে বকাঝকা করেন। এ ছাড়া ক্ষমা চাইতে চাচার কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমার পরিবর্তে তাঁরা ছেলেকে মেরেই ফেললেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

খবর পেয়ে কসবা থানা থেকে একদল পুলিশ গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর আগে গতকাল রাতেই উবাইদুলের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে চাচাতো ভাই রোমান মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে চারজনকে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।