নোয়াখালীতে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

নোয়াখালীতে ঈদের পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১০০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সময় করোনায় মারা গেছেন আরও একজন।

এ নিয়ে জেলায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৭৬। আর মারা গেছেন ৭০ জন। সবশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তি কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দা।

আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত জুলাই মাসের করোনা সংক্রমণের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জুলাই মাসে জেলার ৯টি উপজেলায় করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯৯১ জন। মারা গেছেন ২০ জন। আর আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন আগের মাসের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৪৯৬ জন। আর এই ১০ দিনে মারা গেছেন ৫ জন।

জেলার সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে চলাফেরার কারণে জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য প্রশাসনিক কঠোরতাও বাড়ানো হবে উল্লেখ করেন তিনি।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও করোনা ফোকাল পারসন সঞ্জিব কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাঈদুল হক (৬১) জ্বর-কাশি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে যান। সোমবার বিকেলে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। কিন্তু এর আগেই সকালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে কবিরহাট উপজেলায় করোনায় ৯ জন মারা গেছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০০ জনের পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার, ২২ জন কবিরহাটের, সদরের ১৭ জন, সুবর্ণচর, হাতিয়া ও সেনবাগে ৬ জন করে, বেগমগঞ্জে ৮ জন, সোনাইমুড়ীতে ৭ জন ও চাটখিলের ২ জন রয়েছেন।