জাতীয় সংসদ ভবনের লেগোর মডেল চূড়ান্ত পর্বে

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের লেগোর নকশা ১০ হাজার ভোট পেয়ে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের লেগোর নকশা ১০ হাজার ভোট পেয়ে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে।

আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পকে তুলে ধরার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় ‘বিল্ড বাংলাদেশ ইন লেগো’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের লেগোর নকশা ১০ হাজার ভোট পেয়ে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। ঢাকাভিত্তিক জেঅ্যান্ডজে লেগো ক্রিয়েশনের পক্ষ থেকে ১১ আগস্ট সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও জেঅ্যান্ডজের জুডিথা ওলমাখার বাংলাদেশকে বিশ্বে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিং কর্মসূচির উদ্যোগ নেন। এই ব্র্যান্ডিং উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশের অনন্য সব স্থাপত্যশৈলীকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার প্রয়াস শুরু করেন।

২০১৮ সালে জুডিথা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন তৈরি করেন লেগো দিয়ে। এটি তৈরিতে লাগে ৮ হাজার লেগো টুকরো। ছোট একটি ট্যাবিলটপ সংস্করণও তিনি করেন, যা তৈরি হয় ১২৫টি টুকরোয়। প্রতিযোগিতায় ক্ষুদ্র সংস্করণটি অংশগ্রহণ করে। ওয়ার্ল্ড লেগো ওয়েবসাইটে এই মডেল যাতে গৃহীত হয়, সে জন্য জুডিথা ডিজাইন তৈরি করে জমা দেন আগেই। তবে জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ণাঙ্গ মডেলটি গৃহীত হতে লেগো ওয়েবসাইটে ১০ হাজার ভোট প্রয়োজন ছিল। অবশেষে প্রায় দুই বছর পর ১০ হাজার ভোট পড়েছে ডিজাইনটির পক্ষে। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন ও ঢাকা লিট ফেস্টের মতো আয়োজনগুলোয় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

জুডিথা বলেন, ‘বাংলাদেশিদের কাছে এই ভবনের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের কাছে এটি শুধু সংসদ ভবন নয়, এটি স্থিতিশীলতা, সম্মান ও মহত্ত্বের প্রতীক।’

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের লেগো প্রকল্পটি প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট পাওয়ায় এখন চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গেছে। এই ধাপে বিশ্বের আরও ২৫টি প্রকল্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচিত হলে এটি আনুষ্ঠানিক লেগো সেট হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের দোকানে তা পাওয়া যাবে।