জব্দ করা ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবার বালু উত্তোলন

জব্দ করা ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন, ধরমপাশা, সুনামগঞ্জ, ১২ আগস্ট। ছবি: সালেহ আহমদ
জব্দ করা ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন, ধরমপাশা, সুনামগঞ্জ, ১২ আগস্ট। ছবি: সালেহ আহমদ

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় জব্দ করা ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মনাই নদে বালু উত্তোলন শুরু হয়। অথচ গতকাল মঙ্গলবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করা হয়েছিল।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বংশীকুণ্ডা বাজারের দক্ষিণ পাশে মনাই নদের অবস্থান। প্রায় দুই মাস ধরে স্থানীয় দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বালুর বাণিজ্য করে আসছিলেন। এতে নদীসংলগ্ন ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছিল। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করা হয় এবং এর মালিক সাজু মিয়াকে (৩৫) আটক করা হয়। জব্দ করা মেশিনটি পরে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের জিম্মায় রাখা হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করায় সাজু মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ওই মেশিন দিয়ে আজ আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ বলেন, জরুরি কাজে গতকাল বিকেলে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা শহরে গেছেন। লোকজন দিয়ে নদ থেকে ড্রেজার মেশিনটি উঠিয়ে দ্রুত ইউপি ভবনের কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করবেন।

জানতে চাইলে আজ দুপুরে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা ড্রেজার মেশিনটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। মেশিনটি দিয়ে আবার নদ থেকে বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেলে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে ড্রেজার মেশিনটির মালিক সাজু মিয়ার মুঠোফোন নম্বরে কয়েক দফা কল করে বন্ধ পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।