দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে ছাত্রীর মুখ

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মুখ। এ ছাড়া তাঁর হাত ও পায়ের কিছু অংশও পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড় বাউটিয়া নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর নাম সুমা খাতুন (১৫)। সুমা ওই গ্রামের সেলিম আহমেদের মেয়ে। সে বাউটিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

পুলিশ ও স্বজনেরা জানিয়েছে, গতকাল রাতে খাবার খেয়ে মায়ের সঙ্গে সুমা ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে সুমার দুই গাল, নাক, হাত ও পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়। তাঁর মায়ের গায়েও অ্যাসিড পড়েছে। সুমা বা তাঁর মা কাউকে চিনতে পারেনি। পরে রাতেই আহত অবস্থায় সুমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

সুমার বাবা সেলিম আহমেদ বলেন, সুমাকে স্কুলে যেতে কেউ বিরক্ত করেছে বলে তাঁর জানা নেই। তবে কিছুদিন ধরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে সুমাকে বিরক্ত করা হচ্ছিল। ঘটনার পর পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ তাঁদের বাড়িতে ও হাসপাতালে গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও গেছেন। সুমার মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।