মশিয়ালীতে তিন হত্যা: আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে নির্বিচারে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে যশোর সদর থানার খড়কি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম আলমগীর হোসেন। তিনি ওই মামলার ১০ নম্বর আসামি। ওই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা তিন ভাই শেখ জাকারিয়া, শেখ মিল্টন ও শেখ জাফরিন হাসানের চাচাতো ভাই হলেন আলমগীর হোসেন। এ নিয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ৫ আসামি গ্রেপ্তার হলেন। মামলার প্রধান দুই আসামি জাকারিয়া ও তাঁর মেজ ভাই মিল্টন রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এর আগে মামলার ৩ নম্বর আসামি জাফরিন, তাঁর এক সহকারীসহ এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে জাফরিনকে ২ দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড চলাকালে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, দেশি দুটি পিস্তল ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ দিনে আদালতের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জাফরিন। মামলার আরেক আসামি জাহাঙ্গীরও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, খুলনার খানাজাহান আলী থানা ও যশোর সদর থানা-পুলিশের সহায়তায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরের দিকে তাঁকে আদালতের কাছে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মশিয়ালী গ্রামটি খুলনার ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলেতলা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। তবে এটি খানজাহান আলী থানার আওতাধীন। গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে মশিয়ালী গ্রামের পূর্ব পাড়ার সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়েন ওই এলাকার প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগের নেতা শেখ জাকারিয়া, তাঁর মেজ ভাই শেখ মিল্টন ও ছোট ভাই শেখ জাফরিন হাসান। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ১০ জন।