যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জব্দকৃত বালু নিলামের ডাকে কম মূল্যে ক্রয়ের সমঝোতার চেষ্টার সময় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিলাম ডাক আপাতত বন্ধ রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক মাস ধরে উপজেলার বাঙ্গালী নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা বালু উত্তোলন করছিলেন। এ অবস্থায় উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত অভিযান চালিয়ে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হক, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ ও বেড়েরবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের অবৈধ বালুগুলো জব্দ করেন। এ ছাড়া নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলার বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের শ্যালো মেশিন জব্দ করেন। আজ দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জব্দকৃত বালুর মূল্য ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব বালু সমঝোতার ভিত্তিতে কম মূল্যে ক্রয়ের জন্য উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ। এ সময় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আবু সালেহকে চড়থাপ্পড় মারেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য খায়রুল ইসলাম। এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জব্দকৃত বালু ১০ লাখ টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বালু ক্রয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হওয়ায় নিলাম ডাক বন্ধ রাখা হয়েছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।