মোকাব্বিরের গাড়িতে হামলার ঘটনায় নীরব থাকায় গণফোরামের বিশ্বনাথ কমিটি স্থগিত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা গণফোরামের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংসদ মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার ঘটনায় গণফোরামের বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি নীরব থাকায় এই সিদ্ধান্ত।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলায় ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ৯ মাসের মাথায় সেই কমিটি স্থগিত করা হলো। যোগাযোগ করলে গণফোরামের সিলেট জেলা কমিটির আহ্বায়ক আনসার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আনসার খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংসদে আমাদের একমাত্র প্রতিনিধি সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী মোকাব্বির খান। দলীয় সাংসদের গাড়িতে হামলার পরপর কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটি সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সোচ্চার হয়। অথচ ঘটনাস্থল বিশ্বনাথের উপজেলা কমিটি নীরব ছিল। সাংগঠনিক এই অবস্থায় উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্বনাথে গণফোরামের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে না।’

দলীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ১৭ নভেম্বর গণফোরামের সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে পুনর্গঠন করা হয়। এরপর ২৩ নভেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলায় নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। ৩১ সদস্যের এ কমিটিতে নিজাম উদ্দিন আহ্বায়ক ও তরিকুল ইসলাম সদস্যসচিব হন।

কমিটি স্থগিত করার বিষয়টি জেলা কমিটির আহ্বায়ক মৌখিকভাবে জানিয়েছেন উল্লেখ করে তরিকুল বলেন, ‘জেলার পক্ষ থেকে আহ্বায়ক মৌখিকভাবে কমিটি স্থগিত করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি।’ কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সাংসদের গাড়িতে হামলার পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ বা কর্মসূচি পালন না করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আসলে দলীয় সাংসদ ওই দিন আমাদের না জানিয়ে এসেছিলেন। এ জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি।’

গত সোমবার দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সমন্বয় সভা হয়। এতে যোগ দিতে বিশ্বনাথে আসেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান। এ সময় তাঁর গাড়িতে ঢিল ছোড়েন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এবং যুবলীগের তিন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিশ্বনাথের দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দবির আহমদকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন: