কুমিল্লার কোভিড হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু

কুমিল্লা কোভিড হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা গেছেন তিনজন। আর করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন এক নারীসহ তিনজন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী। হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বর্তমানে এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৬ জন। কোভিড–১৯ রোগী ৫১ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৭ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। আজ পর্যন্ত ৬৮ দিনে মারা গেছেন ৩২৮ জন।

জানা গেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল সোমবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাতাবাড়িয়া গ্রামের ৮০ বছরের এক ব্যক্তি। ভর্তির ১২ ঘণ্টা পার না হতেই বিকেল পাঁচটায় মারা যান তিনি। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ৪৫ বছরের এক পুরুষ গতকাল সকাল ছয়টা ৪০ মিনিটে ভর্তি হন। আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। চাঁদপুর জেলার হাপানিয়া এলাকার ৫৯ বছরের এক ব্যক্তি গত ৩০ জুলাই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়ে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা ১০ মিনিটে মারা যান।

এদিকে করোনা পজেটিভ হয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ৮ আগস্ট রাত ১২টায় ভর্তি হন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার করপাটি এলাকার ৭০ বছরের এক ব্যক্তি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। গত ৬ আগস্ট হাসপাতালের আইসিইউতে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হন কুমিল্লা নগরের ছাতিপট্টি এলাকার ৭৫ বছরের এক নারী। গতকাল রাত ১১টায় তিনি মারা যান। চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৭০ বছরের এক ব্যক্তি গতকাল রাত ১২টা ২০ মিনিটে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তির ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর আজ ভোররাত চারটার দিকে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সিরিয়াস রোগীরা এখানে ভর্তি হন। খারাপ শারীরিক অবস্থা নিয়ে তাঁরা এখানে সেবা নিতে আসেন।