মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবার ভাঙন

মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনে চাঁদপুর শহরের হরিসভা সড়কের ৪০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো
মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনে চাঁদপুর শহরের হরিসভা সড়কের ৪০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো

মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত ১০টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরের হরিসভা এলাকায় হরিসভা সড়কে বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে সড়কের বেশ কিছু অংশ, বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ২৫মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের আরও ৬০ থেকে ৭০ মিটার এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার বিষয়ে হরিসভার বাসিন্দা বিমল চৌধুরী জানান, রাতে নদীর তীব্র স্রোতে হরিসভা সড়ক-সংলগ্ন ব্লক বাঁধ মুহূর্তে নদীতে তলিয়ে গেলে এই ভাঙন শুরু হয়।এ সময় সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিও নদীগর্ভে চলে যায়। এখনো হরিসভার এলাকার হরিসভা কমপ্লেক্স, একটি মাদ্রাসা, গণকবরস্থানসহ কয়েক শ ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। তবে রাত থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নদীভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকার সড়ক ধসে পড়েছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পাউবো। ছবি: প্রথম আলো
মেঘনার প্রবল স্রোতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরানবাজার হরিসভা এলাকার সড়ক ধসে পড়েছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পাউবো। ছবি: প্রথম আলো

হরিসভার বাসিন্দা বিমল চৌধুরী আরও জানান, তিন বছর ধরে এই এলাকায় বর্ষায় নদীভাঙন চলছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবছর বাড়িঘর, রাস্তাঘাটসহ শহর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে এই এলাকা ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে পানিসম্পদমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা এই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁর নদীভাঙন প্রতিরোধে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখনো ভাঙন প্রতিরোধে এখনো কোনা কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

মেঘনায় নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, ‘নতুন করে বুধবার রাত ১০টার থেকে মেঘনার তীব্র ঘূর্ণি স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু অংশের ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাত থেকেই সেখানে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এই ভাঙন রক্ষায় আমরা স্থায়ীভাবে একটি প্রকল্প দিয়েছি। সেটা কার্যকর হলে এই এলাকাকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা যাবে।’