সিলেটে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনই একই পরিবারের। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর বেগমপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া (২৮), তাঁর সহকারী জাহাঙ্গীর আলম (৩০), একই উপজেলার পশ্চিম ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের কামরুজ্জামানের দুই শিশুকন্যা খাদিজা বেগম (২) ও কারিমা বেগম (৪), ভাতিজি আরিফা বেগম (১২) ও শ্যালিকা হামিদা বেগম (২৮)।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি দুটি জব্দ করেন এবং বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূইয়া জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া নিহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রথমে দুই শিশুসহ চারজন ও পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মামুন পরিবহনের বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।