নিজের চেষ্টায় রক্ষা পেল মেয়েটি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাল্যবিবাহের সব আয়োজন শেষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল খাওয়ার আয়োজন। নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বয়স্ক এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিলেন তার মা–বাবা।

কৌশলে মেয়েটি এ বিষয় তার বয়সে বড় এক বান্ধবীকে জানায়। সেই বান্ধবী সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। খবর পেয়ে সেখানে আসেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলমও। প্রশাসনের বাধায় বন্ধ হলো মেয়েটির বাল্যবিবাহ। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশনা পেয়ে বিয়েবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন এবং বরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।