সাতক্ষীরায় কোভিডে একজনের মৃত্যু

ছবি রয়টার্স
ছবি রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধঘণ্টার ব্যবধানে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত এবং অপরজন করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার রাতে তাঁরা মারা যান।

মারা যাওয়া দুজনের একজন হলেন পান্না রানী (৬০)। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন।

অপরজনের নাম আনসার গাজী (৬৮)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মানস মণ্ডল জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তালার পাটকেলঘাটা এলাকার পান্না রানীকে এক সপ্তাহ আগে তাঁর স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।

চিকিৎসক মানস মণ্ডল জানান, আশাশুনি উপজেলার আনসার গাজী গত বুধবার বিকেলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর নমুনা নিয়ে খুলনায় পাঠানো হয়। এখনো পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়নি। তিনি আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা যান।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফন করার জন্য বলা হয়েছে। মারা যাওয়া দুজনের বাড়ি লকডাউনের জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের পজিটিভ এসেছে।