কুমিল্লায় কোভিড হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫০ ছাড়াল

কুমিল্লা জেলার কোভিড–১৯ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থাপিত কুমিল্লা কোভিড-১৯ হাসপাতালে গত ৭২ দিনে মারা গেছেন ৩৫১ জন। এই কয়েক দিনে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় পাঁচ। হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

রোববার সকাল পর্যন্ত করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুজন মারা গেছেন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত সেবা মিলছে না হাসপাতালটিতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় পৌঁছালেই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে তাঁদের আর কিছু করার থাকে না।

হাসপাতালের সহকারী সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মৃতদের মধ্যে ২৫৩ জন পুরুষ আর মহিলা ৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩০৩ জন এবং করোনা পজিটিভ হয়ে ৪৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন ১৮১ জন, করোনা ওয়ার্ডে ৫৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১৪ জন।

হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রথম এক মাসে এই হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৬ জন রোগী। পরের মাসে ১২৪ জন। গত ১৩ দিনে মারা গেছেন ৬১ জন। ঈদের পর থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন নারী। ৫৬ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়ি শাসনগাছা এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি বরুড়া উপজেলার দেওয়া গ্রামে। তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর।

কুমিল্লা কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সংকটাপন্ন রোগীদের বাঁচানো যাচ্ছে না। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের পরামর্শে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’