সম্পদে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মামলায় বিএনপি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সম্পদশালী বিবেচনায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং মামলার বিবেচনায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ রফিক তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় লিখেছেন ‘ডিপ্লোমা ইন ল্যাঙ্গুয়েজ’। পেশায় ‘দোভাষী’। তাঁর এক কোটি ৮০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। সম্পদের বিবেচনায় এর পরেই রয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ। তিনি বিএ (পাস)। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ছয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। পেশায় আবাসন ব্যবসায়ী লোকমানের বার্ষিক আয় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর ৪৯ লাখ ১১ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। ব্যাংকঋণ রয়েছে ৩৫ লাখ টাকার। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মোহাম্মদ আবু জাহিদের পেশা ব্যবসা। প্রবাসে ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। তাঁর বার্ষিক আয় ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা। সর্বমোট ২৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০ টাকার সম্পদ রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস (পাস)।
বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত আলী আহমদ স্নাতক পাস। পেশায় ব্যবসায়ী আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া একটির অভিযোগপত্র থেকে বাদ বাদ পড়েছেন। তাঁর আয় দুই লাখ ৭৫৪ হাজার টাকা। ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১২০ টাকার সম্পদ রয়েছে। ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৯ টাকার ব্যাংকঋণ রয়েছে।
মামলায় সবার ওপরে রয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন। পেশায় আইনজীবী ফয়েজের আয় ৮৪ হাজার টাকা। তাঁর ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা ছিল। এর একটি থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। আর দুটির অভিযোগ গঠন হয়েছে, একটি তদন্তাধীন, একটি বিচারাধীন।
সবচেয়ে কম সম্পদশালী মো. তৈয়্যিবুর রহমান নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেকে ‘মৌসুমি ধান-চাল ব্যবসায়ী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।