হোসেনপুরে বিজয়ে আ.লীগের মুখরক্ষা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলার মধ্যে সদর ও কুলিয়ারচরে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হন। হোসেনপুরে বিজয় লাভ করেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নির্বাচনী আসন সদর উপজলা ও হোসেনপুর নিয়ে। সদরে ভরাডুবি হলেও হোসেনপুরে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে আওয়ামী লীগের মুখরক্ষা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
এলাকার অনেক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় ঐক্য, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ও নিরপেক্ষ ভোটারদের সহানুভূতিতে আওয়ামী লীগদলীয়-প্রার্থী আয়ূব আলী জয়ী হয়েছেন। তাঁর এ বিজয়ে জেলায় আওয়ামী লীগের মুখরক্ষা হয়েছে। তবে পরাজয় মেনে না নিয়ে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের অনৈতিক প্রভাব, কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিএনপির ভোটারদের কোণঠাসা করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করা ও জাল ভোট দেওয়ায় তাঁর পরাজয় হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু দল-সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়ূব আলী প্রবীণ ও বয়স্ক মানুষ। তিনি দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত। এ কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই।’
এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হকও নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পৌরসভাসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান। পরে ৫ মার্চ তিনি দলীয় প্রার্থী আয়ূব আলীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এ ব্যাপারে শাহ্ মাহবুবুল হক বলেন, নিরপেক্ষ ভোটাররা সহানুভূতি জানিয়ে আয়ূব আলীকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। কারণ, প্রতিটি পথসভায় আয়ূব বলেছেন, তাঁর জীবদ্দশায় কোনো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত।
এলাকার অনেকে জানান, সিদঁলা আয়ূব আলীর নিজের ইউনিয়ন। ১৫ মার্চের নির্বাচনে এ ইউনিয়ন থেকে আয়ূব আলীর ১০ হাজার ৩৩১ ভোটের বিপরীতে জহিরুল পান তিন হাজার ৬৫০ ভোট। তবে নিজের ইউনিয়ন সাহেদলে জহিরুল পান পাঁচ হাজার ৮৮৩ ভোট আর আয়ূব আলী পান তিন হাজার পাঁচ ভোট। এ থেকে বোঝা যায়, আয়ূব আলীর প্রতি ভোটাদের সহানুভূতি ছিল।
আয়ূব আলীও বলেন, ‘ভোটারদের সহানুভূতির কারণে আমি বিজয়ী হয়েছি। ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’