চাটখিলে ছাত্রদল নেতা ও যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পশ্চিম দেলিয়া গ্রামের একটি পুকুর ও পাশের খাল থেকে এক ছাত্রদল নেতা ও এক যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে চাটখিল থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নিহত দুজন হলেন স্থানীয় মোহামঞ্চদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন ওরফে আকাশ (২৫) ও চাটখিল পৌর যুবলীগের কর্মী আল-আমিন (২৬)। মিকাইল মোহামঞ্চদপুর ইউনিয়নের পাওড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এবং আল-আমিন পৌর শহরের ভিমপুরের আমিরুল ইসলামের ছেলে। তাঁরা দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
যুবলীগ কর্মী আল-আমিনকে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বেলা দুইটার দিকে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ লাইন থেকে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে পশ্চিম দেলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় তাহেরের পোল নামক স্থানে দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দুটি লাশই গুলিবিদ্ধ। একজনের বাম চোয়ালে এবং গলায় গুলি করায় চেহারা অনেকটাই বিকৃত হয়ে গেছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহামঞ্চদ উল্লাহ জানান, আল-আমিন চাটখিল পৌরসভা যুবদলের কর্মী ছিলেন। কয়েক দিন আগে দলের এক শীর্ষ নেতা তাঁকে (মোহাম্মদ উল্লাহ) ফোন করে আল-আমিনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরেই আল-আমিন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা মিকাইল খুন হতে পারেন বলে তাঁর ধারণা।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা জানান, মিকাইল ছাত্রদলের ওয়ার্ড সভাপতি। আল-আমিন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তাঁর সঙ্গেই সাম্প্রতিক সময়ে বেশি আড্ডা দিতেন। তবে, কারা কী কারণে তাঁদের হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত নয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আল-আমিন দুটি অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি। মিকাইলও তাঁর সঙ্গে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁদের দুজনকে কারা কেন হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ হত্যার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।