বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৩০

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষ এবং ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী, পুলিশ এবং এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে গতকাল সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের জামাল পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে হোসেন আহমেদ পক্ষের নেতা-কর্মীদের বাগিবতণ্ডা হয়। এর জের ধরে হোসেন পক্ষের নেতা-কর্মীরা শহরে মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের দক্ষিণবাজার এলাকায় এলে জামাল পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে জামাল পক্ষের ১০ জন নেতা-কর্মী ও কয়েকজন পথচারী আহত হন।

এ ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর ছাত্রলীগের পাবেল পক্ষের লোকজন পৌর শহরে মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজ রোড মোড়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আবারও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। রাবার বুলেট লেগে ছাত্রলীগের আহত কর্মী সাহাব উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেন এবং ব্যবসায়ী শাব্বির আহমদকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন (৫৫), পথচারী আবুল কালাম (৩০), ইমরান হোসেন (১৮) ও পুলিশের কনেস্টবল আশিক উদ্দিনকে (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ছাত্রলীগের পাবেল ও জামাল পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী বিভিন্ন ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও ছাত্রলীগের তিন পক্ষের নেতার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। বর্তমানে উপজেলায় ছাত্রলীগের পাঁচটি পক্ষ আছে। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দুঃখজনক।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন গতকাল বিকেলে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ৫০টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।