পঞ্চম দফা শেষে আ.লীগ ২২০, বিএনপি ১৫৩

পঞ্চম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে চেয়ারম্যান পদে বড় ব্যবধানে এগিয়ে গেল আওয়ামী লীগ। মোট পাঁচ দফায় দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা ২২০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে বিএনপি ১৫৩টি, জামায়াত ৩৬টি, জাতীয় পার্টি তিনটি এবং বিদ্রোহী, অন্যান্য দল ও নির্দলীয় ব্যক্তি ৪০টি উপজেলায় জয়ী হয়েছেন।
পঞ্চম ধাপে গতকাল সোমবার দেশের ৩৫টি জেলার ৭৩টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। রাত দুইটা পর্যন্ত ৭০টি উপজেলার বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৮টি, বিএনপি ১২টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চারটি, জামায়াতে ইসলামী তিনটি এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-সন্তু লারমা) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একজন করে প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।
ভোট গণনা শেষ না হওয়ায় গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাঙামাটি সদর উপজেলার ফল পাওয়া যায়নি। বরগুনার আমতলী উপজেলায় ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে।
পঞ্চম দফার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন:
দিনাজপুর: বিরলে আ ন ম বজলুর রশিদ, পার্বতীপুরে মো. আমিনুল ইসলাম ও হাকিমপুরে মো. আকরাম হোসেন মণ্ডল। তাঁরা সবাই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী।
নীলফামারী: ডোমারে আওয়ামী লীগের আবদুর রাজ্জাক বসুনিয়া।
লালমনিরহাট: কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।
গাইবান্ধা: ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হাবিবুর রহমান ও সুন্দরগঞ্জে জামায়াতের মাজেদুর রহমান।
বগুড়া: সদরে বিএনপির মো. আলী আজগর তালুকদার।
পাবনা: সদরে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন ও বেড়ায় একই দলের মো. আবদুল কাদের।
রাজশাহী: পবায় জামায়াতের মকবুল হোসাইন।
সিরাজগঞ্জ: বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী ও শাহজাদপুরে একই দলের আজাদ রহমান।
চুয়াডাঙ্গা: সদরে আওয়ামী লীগের আসাদুল হক বিশ্বাস ও আলমডাঙ্গায় একই দলের হেলাল উদ্দিন।
সাতক্ষীরা: সদরে আসাদুজ্জামান, দেবহাটায় আবদুল গণি ও তালায় ঘোষ সনৎ কুমার। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
বরগুনা: সদরে আব্বাস হোসেন মোল্লা, বামনায় মো. সাইতুল ইসলাম ও পাথরঘাটায় রফিকুল ইসলাম। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
পটুয়াখালী: কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের আবদুল মোতালেব তালুকদার ও দশমিনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সাখাওয়াত হোসেন।
টাঙ্গাইল: সদরে খোরশেদ আলম, ঘাটাইলে নজরুল ইসলাম খান, মির্জাপুরে মীর এনায়েত হোসেন ও গোপালপুরে ইউনুস ইসলাম তালুকদার। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
জামালপুর: মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগের মো. ওবায়দুর রহমান।
ময়মনসিংহ: গফরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের আশরাফ উদ্দিন, নান্দাইলে একই দলের আবদুল মালেক চৌধুরী ও ত্রিশালে বিএনপির জয়নাল আবেদীন।
কিশোরগঞ্জ: অষ্টগ্রামে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম ও পাকুন্দিয়ায় একই দলের ‘বিদ্রোহী’ রফিকুল ইসলাম।
মুন্সিগঞ্জ: সিরাজদিখানে মহিউদ্দিন আহমেদ, টঙ্গিবাড়ীতে কাজী ওয়াহিদ ও লৌহজং উপজেলায় ওসমান গণি তালুকদার। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
গাজীপুর: কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন।
নরসিংদী: সদরে বিএনপির মঞ্জুর এলাহী, মনোহরদীতে আওয়ামী লীগের সাইদুল ইসলাম খান ও রায়পুরায় একই দলের মিজানুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁওয়ে বিএনপির আজহারুল ইসলাম, রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের শাহজাহান ভূঁইয়া ও আড়াইহাজারে একই দলের শাহজালাল মিয়া।
রাজবাড়ী: গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগের এ বি এম নুরুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জ: বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপির হারুন উর রশীদ ও তাহিরপুরে একই দলের বিদ্রোহী কামরুজ্জামান।
সিলেট: বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান।
মৌলভীবাজার: জুড়ীতে আওয়ামী লীগের এম এ মুমীত ও রাজনগরে মো. আছকির খান।
হবিগঞ্জ: বানিয়াচংয়ে বিএনপির শেখ বশীর আহমদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সদরে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম, কসবায় একই দলের মো. আনিসুল হক ভূঞা ও আশুগঞ্জে বিএনপির আবু আসিফ আহমেদ।
কুমিল্লা: চান্দিনায় আওয়ামী লীগের তপন বকশী ও মুরাদনগরে একই দলের সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম।
ফেনী: ছাগলনাইয়ায় আওয়ামী লীগের মেজবাউল হায়দার চৌধুরী।
নোয়াখালী: সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও হাতিয়ায় একই দলের বিদ্রোহী মাহবুব মোর্শেদ।
লক্ষ্মীপুর: সদরে এ কে এম সালাউদ্দিন, রামগতিতে আবদুল ওয়াহেদ, রায়পুরে আলতাফ হোসেন হাওলাদার ও রামগঞ্জে আ ক ম রুহুল আমিন। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী।
চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের এম শাহজাহান।
কক্সবাজার: সদরে জামায়াতের জি এম রহিমুল্লাহ, টেকনাফে আওয়ামী লীগের জাফর আহমেদ ও উখিয়ায় বিএনপির সরোয়ার জাহান চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি: দীঘিনালায় ইউপিডিএফের নবকমল চাকমা।
রাঙামাটি: লংগদুতে বিএনপির মো. তোফাজ্জল হোসেন, রাজস্থলীতে আওয়ামী লীগের উখিন সিন মারমা ও বিলাইছড়িতে জেএসএসের (সন্তু লারমা) শুভ মঙ্গল চাকমা।