শেষটাও ভালো হলো না

বেলা ১১টা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মটবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর দোয়াত-কলম প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছেন একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা (নাম জানা যায়নি) । ছবি: সাজিদ হোসেন
বেলা ১১টা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মটবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর দোয়াত-কলম প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছেন একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা (নাম জানা যায়নি) । ছবি: সাজিদ হোসেন

শেষটাও ভালো হলো না। উপজেলা নির্বাচনের শুরুটা গ্রহণযোগ্য ছিল, কিন্তু ধাপে ধাপে সহিংসতা ও ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনা বাড়তে থাকে। গতকাল সোমবার পঞ্চম দফায় সহিংসতার মাত্রা তুলনামূলক কম থাকলেও কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার ‘মহোৎসব’ ছিল লক্ষণীয়।
ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল সোমবার ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দীঘলি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন গুলিতে নিহত হন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শওকত আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। ভোট চলাকালে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গোবিন্দবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধাওয়া খেয়ে শামীম ইসলাম (৪৬) নামের এক ব্যক্তি এবং পোর্টিয়াস উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সিঁড়ি থেকে পড়ে সুন্দর আলী (৬০) নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান। রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিচিত্র কুমার দেব বলেন, দুজনই হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বেলা ১১টা ৪৮ মিনিট। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। জামায়াত-সমর্থক প্রার্থীর চশমা প্রতীকে সিল মারছিলেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল। ক্যামেরা ক্লিক করতেই মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন তিনি । ছবি: প্রথম আলো
বেলা ১১টা ৪৮ মিনিট। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। জামায়াত-সমর্থক প্রার্থীর চশমা প্রতীকে সিল মারছিলেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল। ক্যামেরা ক্লিক করতেই মুখ ঘুরিয়ে ফেলেন তিনি । ছবি: প্রথম আলো

মোট ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে গতকাল ৭৩টিসহ ৪৫৮টির নির্বাচন শেষ হলো। আদালতের নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন কারণে বাকি রইল ২৯টির ভোট। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ফলাফলে আওয়ামী লীগ পিছিয়ে ছিল। এরপর ধাপে ধাপে সহিংসতা ও জাল ভোট বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীদের ‘সাফল্য’।
পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সক্ষম নয়, সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতি রোধে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী পুরো প্রশাসনই কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। সপ্তাহ ধরে বেশির ভাগ নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী দল-সমর্থক নেতা-কর্মীদের এলাকাছাড়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, নির্বাচনের সরঞ্জাম ছিনতাই, এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট জালিয়াতি, দুপুর গড়ানোর আগেই ভোটের বাক্স ভর্তি করে ফেলার ঘটনা গতকাল আগের চেয়ে বেশি ঘটেছে। পাঁচ হাজার ৪৩৪ কেন্দ্রের মধ্যে গতকাল প্রায় এক হাজার ১০০ কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ১৯টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করার কথা জানিয়েছে। তবে অন্তত নয়টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে।
প্রথম দফায় ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ১৬টি উপজেলার ৬৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। দ্বিতীয় দফায় ১১৫টি উপজেলায় নির্বাচন হলেও অনিয়মের অভিযোগ ছিল প্রায় ১০০ কেন্দ্রে। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় মূলত সহিংসতা ও মারামারির বিষয়টি সামনে চলে আসে, তৃতীয় দফায় তিনজন এবং চতুর্থ দফায় চারজন মারা যায়। পঞ্চম দফায় মোট কেন্দ্রের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ঘিরে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক এবং জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকালের নির্বাচনে সরকার-সমর্থক প্রার্থীদের অনেকেই ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জোরজবরদস্তি ও দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে কমপক্ষে ৪০টি উপজেলায় বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অবশ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে হাজার শোকর। সারা দিনে কোনো মৃত্যু বা অপমৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।’
প্রশাসনের নজরদারিতে অনিয়ম!: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে অনিয়মের মহোৎসব হয়েছে। বহিরাগতরা কেন্দ্র দখল করে সিল মেরেছে, সেগুলো দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছে। কয়েক দিন আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, ওই উপজেলায় নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হবে। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা, আরও ছিল প্রশাসনের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের সাজানো ছকে নির্বাচন হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে সেখানে আজ হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি।
সন্তানকে জয়ী করতে বাবার যত চেষ্টা: লক্ষ্মীপুরে যেকোনো উপায়ে সন্তানকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চেয়েছেন সমালোচিত পৌর মেয়র আবু তাহের। নির্বাচন ঘিরে পেশিশক্তির ব্যবহার, জাল ভোট ও সংঘর্ষের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। সহিংসতার ঘটনায় তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়েছে। বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীর এজেন্টই ছিল না অধিকাংশ কেন্দ্রে। আর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও সকাল ১০টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সহিংসতা নেই, আছে কেন্দ্র দখল: গাজীপুরের কালীগঞ্জে সহিংসতা ছিল না। কিন্তু ভোটকেন্দ্র দখল করে সরকার-সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে সিল মারা হয়েছে। এলাকার সাংসদ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ প্রায় দিনভর নির্বাচনী এলাকায় ছিলেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরেছেন, উৎসাহ জুগিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভোট দিতে এলাকায় গিয়েছিলেন। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগ, ১২৬টির মধ্যে কমপক্ষে ৫০ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন সরকার-সমর্থকেরা।
টাঙ্গাইলে মহাসড়ক অবরোধ: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আওয়ামী লীগদলীয় তিন প্রার্থী বাদে অন্য ১০ প্রার্থী একযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন। তাঁদের সমর্থকেরা সকাল আটটার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসে সাতজন আহত হন। জেলার গোপালপুরে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ-সমর্থক কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হন ১০ জন।
বরগুনায় ভোটকেন্দ্র দখল: বরগুনা সদরে সকাল থেকে ৩৩টি কেন্দ্র দখল করে সরকার-সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। আমতলী উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সোমবার ভোরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় সাতটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বামনা উপজেলায় ২২ কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মারেন আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা। পাথরঘাটায় ৫১টি কেন্দ্র দুপুর ১২টার মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থকেরা দখল করে নেন।
ছবি তোলায় সাংবাদিককে মারধর: রাঙামাটি জেলা সদরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম আলোর রাঙামাটির নিজস্ব প্রতিবেদক হরি কিশোর চাকমা এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি হিমেল চাকমাকে মারধর করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সরকার-সমর্থক প্রার্থীর ব্যালটে সিল মারার ছবি তুলতে গেলে এ হামলা চালানো হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষ: জেলার বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। বিকেলে বেলকুচি উপজেলায় খামার উল্লাপাড়া জিএসকেএল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল বেলাল হোসেন, জামায়াতের কর্মী ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগের কর্মী চান আলী, শাহ আলমসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। দুপুরে একই উপজেলার আজুগড়া ও দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের বাইরে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। শাহজাদপুরে সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে আজ স্থানীয় বিএনপি অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে।
নির্বাচন বর্জন: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকার-সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে ৬৮টি কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপি-সমর্থিত মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে ৫৩টি কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি ও জাপা-সমর্থক প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন। উপজেলা বিএনপি ভোট কারচুপির প্রতিবাদে আজ কসবায় আধা বেলা হরতাল ডেকেছে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৯টির মধ্যে ২৫ কেন্দ্র দখলের অভিযোগ ওঠে। দুপুর ১২টার মধ্যে বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বিরোধী দলের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ৪৯টির মধ্যে ৪৮ কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছেন বিএনপি-সমর্থক প্রার্থী। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন-সমর্থিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ সাত প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। বিএনপি এবং জামায়াত-অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তাড়িয়ে জাল ভোট দিতে দেখা গেছে। ভোট ডাকাতি আর কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রউফের পক্ষ থেকে কাল বেলা একটার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। জামায়াত-সমর্থক প্রার্থীর সমর্থকেরা একই অভিযোগ তুলে আজ সাতক্ষীরা সদর, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় হরতালের ডাক দিয়েছেন।
কিছু খণ্ডচিত্র: নরসিংদীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা লাইন ধরে ব্যালটে সিল দিয়ে সেগুলো বাক্সে পুরেছেন। ভোট কারচুপির অভিযোগে ছাগলনাইয়া উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে পাঁচটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সরকার-সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন যেসব এলাকায়: দিনাজপুরের হাকিমপুর ও রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে অর্ধশত ব্যালট ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস ছামাদকে প্রত্যাহার করা হয়।
আশঙ্কা থাকলেও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। হবিগঞ্জের বানিয়াচং এবং নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। এই চিত্র ছিল পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা ও সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।
পঞ্চম দফায় ৭৩ উপজেলায় ভোট
চেয়ারম্যান পদে ৭০টির বেসরকারি ফল (রাত দুইটা পর্যন্ত)
আওয়ামী লীগ ৪৮
বিএনপি ১২
জামায়াত ০৩
জাতীয় পার্টি ০০
অন্যান্য ০৭