৪১টি চোরাই গাড়িসহ গ্রেপ্তার ১৬

গাড়ি চুরি ও চোরাই গাড়ি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ছবিটি আজ বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সামনে থেকে তোলা। ছবি: ফোকাস বাংলা
গাড়ি চুরি ও চোরাই গাড়ি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ছবিটি আজ বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সামনে থেকে তোলা। ছবি: ফোকাস বাংলা

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ৪১টি চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেছে। এ সময় গাড়ি চুরি ও চোরাই গাড়ি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া গাড়ির মধ্যে ২২টি মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গাড়ি চোরাই প্রতিরোধ, চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার, সংঘবদ্ধ গাড়িচোরদের গ্রেপ্তারের জন্য সম্মিলিতভাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চারটি বিভাগ অভিযান শুরু করে।
দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায়ের নির্দেশে ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার দলের (দক্ষিণ) সদস্যরা সহকারী কমিশনার (এসিডিবি) মুহাম্মদ মহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান চালায়। এসব অভিযানে ১৪টি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি নোয়া মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে গাড়িচোর দলের আটজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন আব্বাস আলী ওরফে নয়ন, মো. ফারুক হোসেন, দিপু, নয়ন, ইউনুছ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চোরচক্রের দলনেতা সেলিম ওরফে আকাশ ও ফরহাদ হোসেন।

অন্যদিকে ডিসি ডিবি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলমের নির্দেশে ও এডিসি মো. মাহফুজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের (উত্তর) সদস্যরা এসিডিসি মো. রায়হানুল ইসলাম ও ক্রাইম অ্যানালাইসিস দলের (উত্তর) এসিডিবি মো. গোলাম সাকলায়েনের নেতৃত্বে একাধিক টিম ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় একাধিক অভিযান চালায়। এসব অভিযানে সাতটি প্রাইভেট কার, ১৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় গাড়িচোর দলের আটজন সদস্যকে। তাঁরা হলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন, আবদুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম ওরফে মঞ্জু, মো. আমীর, মো. বাবু, মো. মামুন খান, মো. বিল্লাল খান ও নয়ন মিয়া।

ব্রিফিংয়ে ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায়, ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ও ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) শেখ নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।