চট্টগ্রামে ককটেল ভাঙচুর ও আগুন

চট্টগ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। পিকেটারদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন। নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াতের নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাতটার দিকে নগরের খাতুনগঞ্জ এলাকায় একটি টেম্পোতে আগুন দেয় পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ পিকেটারদের ধাওয়া করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। নগরের বাকলিয়া থানার চামড়ার গুদাম এলাকায় টহল পুলিশকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটারদের আরেকটি দল।

প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ। তিনি জানান, চামড়ার গুদাম এলাকায় পিকেটাররা একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ধাওয়া করলে তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

শিবিরকর্মীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রবিউল সামান্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

হরতাল চলাকালে নগরের ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি হিউম্যান হলারে আগুন ধরিয়ে দেন শিবিরকর্মীরা। এ সময় ওই এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। জেল রোডে একটি টেম্পোতে আগুন দেয় পিকেটাররা।

হরতাল চলাকালে সকালে নগরের চেরাগী পাহাড় এলাকা থেকে দুজনকে আটক করা হয়। নাশকতার সন্দেহে আজ ভোরে নগরের মোহরা এলাকায় চারটি ককটেল ও তিনটি চকলেট বাজিসহ এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পিকেটিংয়ের সময় চান্দগাঁও এলাকা থেকে শিবিরের আরেক কর্মীকে আটক করা হয়।

প্রথম আলো ডটকমকে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক।

গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হালিশহর এলাকা থেকে উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি ফখরী জাহান সিরাজ ওরফে সবুজকে (৫০) আটক করা হয় বলে র‌্যাব জানিয়েছে।