সায়াদ হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্বাক্ষর করলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

সায়াদ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: শাহীদুজ্জামান সাগর
সায়াদ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: শাহীদুজ্জামান সাগর

সায়াদ হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করে মামলা করা, দোষীদের আজীবন বহিষ্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় ’৭১-এর পাদদেশে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় শিক্ষকেরাও যোগ দেন।

আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেন শিক্ষকেরাও। মিছিলটি বিজয় ’৭১ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষদের ভবন ও কামাল-রঞ্জিত মার্কেট ঘুরে আবার বিজয় ’৭১-এ গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে আগামীকাল শনিবার বিকেল পাঁচটায় দাবি আদায়ে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা সায়াদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে চিহ্নিত করে রোববার সকাল ১০টার মধ্যে তাদের নাম প্রকাশ করে মামলা ও আজীবন বহিষ্কার না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত রোববার চতুর্থ বর্ষের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিকস বিভাগের একটি কোর্সের ক্লাস পরীক্ষাটি শিক্ষককে বলে পেছানোর জন্য সায়াদকে চাপ দিয়েছিলেন সুজয় ও রোকন। তাঁদের চাপে একপর্যায়ে তিনি পরীক্ষা হবে না বললেও পরীক্ষা হয় এবং মাত্র দুজন অংশ নেন। শিক্ষক আবার পরীক্ষা নিতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সুজয়ের সঙ্গে সায়াদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যায় হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে সায়াদকে ডেকে নিয়ে রড, লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পিটুনিতে সায়াদ বমি করেন ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ওই কক্ষে তখন সুজয়, রোকনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ছিলেন।
ওই রাতে সায়াদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ময়মনসিংহ শহরের ট্রমা সেন্টারে মারা যান। কে বা কারা তাঁকে ট্রমা সেন্টারে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।