যুবলীগের নয় নেতা-কর্মী বহিষ্কৃত

মুক্তিপণের জন্য গত ৩০ মার্চ রামগড়ে এনে এক সেনাসদস্যকে আটকের ঘটনায় জড়িত রামগড় যুবলীগের নয় নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি রামগড় পৌর যুবলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন ত্রিপুরা বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, দল কারও অপকর্মের দায় নেবে না। এ ঘটনায় জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অধিকাংশই পৌর যুবলীগের, তাই বর্তমান পৌর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরা ও রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। দুর্বৃত্তদের দলে কোনো জায়গা নেই। বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে রামগড় ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন রামগড় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে ফারুক, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহামঞ্চদ ওরফে শামিম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. শিপন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম মিলন ওরফে মুরগি মিলন, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি শেখ ফরিদ ওরফে বড় ফরিদ, পৌর যুবলীগের সহসভাপতি এম এ তারেক সুমন, সাবেক সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের মো. নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের মো. রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের মো. ফারুক হোসেন ওরফে চিকনা ফারুক।

জানা গেছে, সেনাসদস্য নান্টু আলীকে ফারুক গং আমন্ত্রণ জানিয়ে ৩০ মার্চ রামগড় এনে আটক করে মুক্তিপণ চায়। খবর পেয়ে র‌্যাব-পুলিশ ৩১ মার্চ রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে নান্টু আলীকে উদ্ধার এবং ফারুক গংয়ের দলনেতা ফারুকসহ অপর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব ১ এপ্রিল রাতে রামগড় থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ায় ওই রাতেই সেনাসদস্য নান্টু আলী বাদী হয়ে যুবলীগের নয়জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগড় থানার উপপরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ১ এপ্রিল রাত ১০টায় সেনাসদস্য নান্টু আলী রামগড় থানায় মামলা করেন।