'হিরন বরিশালকে শান্তির জনপদে প্রতিষ্ঠা করেছিল'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সদ্য প্রয়াত সাংসদ মো. শওকত হোসেন হিরনের যোগ্য নেতৃত্বে বরিশাল সন্ত্রাসের জনপদ থেকে শান্তির জনপদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমন নেতৃত্ব হয়তো আর পাওয়া যাবে না।’ হিরনের মৃত্যুতে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

গৃহীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।


স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ‘এ সংসদ প্রস্তাব করছে যে মো. শওকত হোসেনের মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক এবং নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবককে হারাল।’ এরপর শোক প্রস্তাবের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাসের জনপদ থেকে হিরন বরিশালকে শান্তি ও উন্নয়নের জনপদে প্রতিষ্ঠা করেছিল। হয়তো এ ধরনের নেতৃত্ব আর পাব না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি একজন রাজনৈতিক নেতা গড়ে ওঠেন জনগণের সেবা করে, মানুষের কল্যাণ করে, মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। হিরন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। বরিশাল অত্যন্ত অবহেলিত ছিল। শুধু তা-ই না, সন্ত্রাসীদের পদচারণে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট বরিশালে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান সকলের ওর অকথ্য নির্যাতন করেছে। গ্যাং রেপ করেছে নারীদের, সদ্যোপ্রসূত নারীও বাদ যায়নি। হিরন সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বরিশালে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করে। হিরনকে যতটুকু দেখেছি, সে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে।’

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো নাসিম, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, জাতীয় পার্টির সাংসদ রুহুল আমিন হাওলাদার ও আওয়ামী লীগের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস।

এর আগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মো. শওকত হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানাজায় অংশ নেন।