গিনেস বুকে সোনার বাংলা

জাতীয় প্যারেড ময়দানে গত ২৬ মার্চ ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইছে শিক্ষার্থীরা । ফাইল ছবি
জাতীয় প্যারেড ময়দানে গত ২৬ মার্চ ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইছে শিক্ষার্থীরা । ফাইল ছবি

প্রত্যাশিত ঘোষণাটি এল ১৪ দিন পর। একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষের জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড এখন বাংলাদেশের। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে ঢাকার জাতীয় প্যারেড ময়দানে ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ নামের আয়োজনে অংশ নিয়ে এই বিশ্ব রেকর্ড করেছেন দেশবাসী। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
গতকাল বুধবার বিকেলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিশ্ব রেকর্ডের এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্ব
রেকর্ড করার জন্য সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এই আয়োজনে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৭ জন অংশ নেন বলে স্বীকৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তায় এর আয়োজন করে। বাংলাদেশের আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের। গত বছরের ৬ মে লক্ষেৗয় সাহারা গ্রুপের আয়োজনে এক লাখ ২১ হাজার লোক একসঙ্গে সে দেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ডটি গড়েছিলেন।
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’—প্রাণপ্রিয় জাতীয় সংগীত গাইতে মহান স্বাধীনতা দিবসে সকাল থেকেই জনতার ঢল নেমেছিল রাজধানীর রাজপথে। প্যারেড ময়দান ও এর আশপাশে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। তাঁদের সঙ্গে একই সময় কণ্ঠ মেলান সারা দেশের ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশা, বয়সনির্বিশেষে অগণিত মানুষ।
সেদিন প্যারেড ময়দানে প্রবেশের সময় যান্ত্রিক গণনা অনুসারে, লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে সমবেত হয়েছিলেন দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন। ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা ২০ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
জানতে চাইলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, গিনেস কর্তৃপক্ষ তাঁকে ই-মেইলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার বিষয়টি জানিয়েছে। অচিরেই সংবাদ সম্মেলন করে সরকারিভাবে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, উদ্যোগটিতে দেশবাসী যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তা বিশ্ব রেকর্ডের চেয়েও বেশি মূল্যবান। জাতীয় সংগীতকে ভালোবেসে তাঁরা মূলত দেশপ্রেমেরই বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।