ছেলের হাতে বাবা খুন

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চননগর গ্রামে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় এবং জমিজমা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে না দেওয়ায় ছেলে সনজিত মজুমদারসহ (৩৫) তাঁর ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন শশধর মজুমদার (৬৫) নামের এক ব্যক্তি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার ভোর চারটায় চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে শশধরের প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে রেখে মারা যান। পরে শশধর দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে তাঁর ছেলেরা বাধা দেন। তার পরও তিনি এক বছর আগে বিয়ে করেন। এ নিয়ে বাবা ও ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। একপর্যায়ে ছেলেরা তাঁদের সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতে বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু বাবা সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে জ্যেষ্ঠ ছেলে সনজিত মজুমদার সন্ত্রাসী নিয়ে বাবার ঘরে ঢুকে ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে ও দা-ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরদিন শুক্রবার ভোর চারটায় চন্দনাইশ থানার পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে শশধরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। কাঞ্চননগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অনুপ কুমার জানান, শশধর দ্বিতীয় বিয়ের চেষ্টা চালালে ছেলে সনজিত মজুমদার ও সঞ্চয় মজুমদার নিষেধ করেন। ওই সময় ছেলেরা বাবাকে পাগল বলে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানালে চন্দনাইশ থানার এসআই মোহামঞ্চদ রফিক শশধরকে উদ্ধার করেন। পরে ইউপি সদস্য অনুপ কুমার বাবা ও ছেলেদের মধ্যে এর মীমাংসা করে দেন।
ঘাতক ছেলে সনজিত মজুমদার হোমিওপ্যাথিক (বিএইচএমএস) চিকিৎসক। তাঁর ছোট ভাই সঞ্চয় মজুমদার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তিনি সীতাকুণ্ড এলাকায় চাকরিরত বলে জানা গেছে। চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মশিয়ার রহমান ছেলের হাতে বাবা খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।