বাগমারায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নারী দর্শকদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা ও দুর্গাপুর উপজেলার দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌরসভার প্যানেল মেয়র, নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার ভাবনপুর গ্রামের কয়েকজন তরুণ মরগাদহ সেতুর পাশে বৈশাখ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। রাত ১০টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় মঞ্চের একপাশে বসা নারী দর্শকদের দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপাড়া গ্রামের কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল তরুণ উত্ত্যক্ত করেন ও ঢিল ছোড়েন। এতে কয়েকজন নারী আহত হন। এ সময় তাহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল খাঁ ওই তরুণদের চড়-থাপড় মেরে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। তরুণেরা এলাকায় ফিরে গিয়ে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে বলে প্রচার করে গ্রামের লোকজনকে ডেকে আনেন। রাতে সাড়ে ১০টার দিকে গোপালপাড়া গ্রামের রিপন, নজিবুর, টনির নেতৃত্বে কয়েক শ লোক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর করেন। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় ভাবনপুরের লোকজন তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বাবুল খাঁসহ ভাবনপুরের নয়জন এবং রিপন, নাজিবুর, টনিসহ গোপালপাড়ার ১১ জন আহত হন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হামিদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় মামলা বা অভিযোগ করেনি।
বাবুল খাঁ অভিযোগ করেন, নারীদের উত্ত্যক্ত করায় ওই তরুণদের চড়-থাপড় দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে তাঁরা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছেন।
রিপন, নজিবুর ও টনির সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আফসার আলী পাল্টা অভিযোগ বলেন, ‘বাবুল খাঁ ও তাঁর লোকজন আমার ছেলেসহ এলাকার লোকজনের ওপর হামলা করেছেন।’