গুলিবিদ্ধ দুই লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় গতকাল বুধবার দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হাফিজ আলী সরকার (৫৫) ও সামছুল ইসলাম ওরফে সাবু (৫৫)।
নিহত দুই ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে পৃথক দুটি দল তাঁদের দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের পূর্ব রতনপুর গ্রামের মৃত জলিল সরকারের ছেলে হাফিজ আলী। তিনি যুবলীগের নেতা সাদেকুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামিও।
হাফিজ আলীর স্ত্রী আম্বিয়া বেগম জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর স্বামী যুবলীগের নেতা সাদেকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদান শেষে মুন্সিগঞ্জ আদালত থেকে বের হন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে সাদাপোশাকের একটি দল নিজেদের র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তাঁকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের হাত-পা ও চোখ বাঁধা ছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, হাফিজ আলীর বুকে দুটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ জানায়, হাফিজ আলী এর আগে একটি অস্ত্র মামলায় চার বছর সাজা খেটেছেন। গত নভেম্বরে পঞ্চসারে সাদেকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় হাফিজ আলীকে আসামি করা হয়। তিনি ওই মামলায় জামিনে ছিলেন।
গাইবান্ধায় নিহত সামছুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপায়। তিনি ছিলেন বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বেতকাপা ইউপির চেয়ারম্যান রোজিফা বেগম জানান, ৯ এপ্রিল রাতে সামছুল ইসলাম বেতকাপার পাশের তালুকজামিরা এলাকায় যাত্রাগান দেখতে যান। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে পাঁচ-সাতজনের একটি দল তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গতকাল সকাল আটটার দিকে পলাশবাড়ীর ঠুটিয়াপাকুর বাজারের কাছে মুচির তেকানি এলাকায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকেরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সামছুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বেতকাপায় যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের বসতঘর তালাবদ্ধ। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। পরে আশপাশের লোকজন জানান, সামছুল ইসলামের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েই তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে যান।