সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগ সভাপতির

গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সায়াদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিকেরা। এ সময় কর্মসূচির আশপাশে না থেকে দূরে অবস্থান করে সংবাদ সংগ্রহের পরামর্শ দেন ছাত্রলীগের সভাপতি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সায়াদ হত্যার বিচারের দাবিতে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য বিজয় ’৭১-এর পাদদেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণজমায়েতের কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ওই কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। সমাবেশের শেষের দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ স্থলে যান। সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান ও তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সায়াদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন করেননি। সাংবাদিকেরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন, এ কথা জানালে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ‘আজ হোক, কাল হোক কিংবা এক মাস পর হলেও’ দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
ঘটনার পরপরই সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শহীদুর রহমান খানের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তাঁরা তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান। এ সময় প্রক্টর সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রফিকুল হক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’