পোষ্য কোটায় বিশেষ ছাড়!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সমঞ্চান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত (গ্রেস মার্ক) ৩ নম্বর দিয়ে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষার অন্য কোনো শর্তও তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় ধরনের কোটা থাকলেও শুধু পোষ্য কোটার পরীক্ষার্থীদের এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) এ বি এম আজিজুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার পরীক্ষার্থীরা ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ২১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভর্তি হতে পারবেন। কিন্তু এবার ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ১২৪ জন পোষ্য কোটার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি অর্ধেক পরীক্ষার্থী ২১ নম্বর পাননি। এসব অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ৩ নম্বর দিয়ে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
কলা ও মানবিক এবং আইন অনুষদের পাঁচটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় পৃথকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে ৩৫ শতাংশ নম্বর, লোকপ্রশাসনে পৃথকভাবে ইংরেজিতে ৩৫ শতাংশ নম্বর, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় পৃথকভাবে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে ৩৫ ও ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার যে শর্ত প্রযোজ্য ছিল, তাও প্রযোজ্য হবে না পোষ্য কোটার পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া বাকি ছয়টি কোটার আসনসংখ্যা সীমিত হলেও পোষ্য কোটার আসন সীমিত নয়। অতিরিক্ত নম্বরসহ বা ছাড়া যে কয়জন পোষ্য পরীক্ষার্থী ২১ নম্বর পাবেন তাঁদের সবাইকে ভর্তি করা হবে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সহ-উপাচার্য মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘এই পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসছে। আমরা তো আর এক দিনে বাতিল করতে পারি না।’
গত বছর ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটার পরীক্ষার্থীদের ১ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হয়। এর আগের বছর অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে ৭৮ জন অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।